খোপা বাধা শাড়ি পরার নিয়ম
খোপা বাধার নানা উপায় :
মাথায় সুন্দর খোপা তার সাথে বেলী ফুলের মালা, আবার কেউ খোপায় গুজেদেয় গোলাপ, কেউবা গাজরা দিয়ে সাজে তার সাথে
যদি তাঁতের শাড়ি তা হলেতো বলার কিছু নেই । বাংলার ঐতিহ্য বাঙালি মেয়ে, নারী, মহিলা, বলতে যা বুঝি সেই ছবিটি ফুটে উঠে। মেয়েদের খোপাবাধা ষ্টাইল তাকে
করে তোলে আরো অকর্ষনীয় ও সত্যিই দেখতে অসাধারণ লাগে। খোপা বাধা খুব সাধারণ হলেও তবুও তার মাঝে কোথায় যেন একটা
অসাধারণ ও আকর্ষনীয় ব্যাপার আছে। বিয়েবাড়ি বা অন্য কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান হলে চুলের স্টাইল বদলে যেত ঠিকই, নানা রকম খোপার ডিজাইনও দেখা
যেত, কিন্তু খোপাবাধাটা ছিল এক প্রকাররিতি
। আজ দারুণ কয়েকটি চুলের খোপার
ডিজাইন সম্বন্ধে আলোচনা করবো।
১। পট রিঙলেটস :
চুলের সামনে কিছুটা অংশ নিয়ে নিতে হবে। তারপর ব্যাক ব্রাশ করে সামনের অংশ উল্টে ক্লিপ লাগিয়ে নিতে হবে
। বাকি চুল ভাল করে আঁচড়ে একটি
রাবার দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে । পিছনের পনি করা চুল থেকে বেশ কিছুটা অংশ নিয়ে কার্লার লাগিয়ে
ছোট ছোট কার্ল করে নিন। এগুলি পিন করে ছেড়ে দিন। অনেক বেশী রিংলেটস চাইলে ফলস হেয়ার পিস বহার করতে পারেন।
২। কিস কাল পনিটেল :
ধারে সিঁথি করে পনিটেল করুণ। পনিটেলের উপরের অংশের চুল নিয়ে সরু বোলার দিয়ে চুলের নিচের অংশ কার্ল করে নিন। কার্লগুলো তুলে পিন দিয়ে আটকে দিন। বাকি পনিটেল ভাল করে
ধারে সিঁথি করে পনিটেল করুণ। পনিটেলের উপরের অংশের চুল নিয়ে সরু বোলার দিয়ে চুলের নিচের অংশ কার্ল করে নিন। কার্লগুলো তুলে পিন দিয়ে আটকে দিন। বাকি পনিটেল ভাল করে
আঁচড়ে একদম নীচে রাবার ব্যান্ড আটকে নিন। ভেতরের দিক দিয়ে পনিটেলের শেষ
অংশ নিয়ে গিয়ে ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে পিন দিয়ে আটকে নিতে হবে।
৩। ববি খোঁপা :
মাঝখানে সিঁথি করে দুটো পনিটেল করে নিন। প্রত্যেকটি পনিটেলের অর্ধেক চুল
ফোল্ড করে পিন দিয়ে আটকে নিন। বাকি অংশ চুলের ভাঁজের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে আটকে নিন।
৪। ঘাড়ে ঝোলানো খোপা :
এরকম খোপার ডিজাইন আমরা প্রায়শই মা-মাসি-পিসিদের করে থাকতে দেখেছি। অনেকসময়েই টাইট করে খোপা বাঁধলে
একটু পরে মাথায় খুব ব্যথা করে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি হালকা করে খোপা করেন এবং ঘাড়ের কাছে ঝুলিয়ে
দেন, তাহলে মাথা ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা
তো থাকবেই না; বরং দেখতেও বেশ সুন্দর খোপার
ডিজাইন দেখা যাবে। এরকম চুলের স্টাইল করতে আপনাকে
খুব বেশি কষ্টও করতে হবে না। চুল আঁচড়ে সম্পূর্ণ চুলের গোছাটি ঘাড়ের কাছে নিয়ে এসে একটা খোপা
করে নিন। ফ্যাশনেবল হেয়ার অ্যাক্সেসরিজ দিয়ে চুল বেধেও নিতে পারেন। আপনার চুল যদি বেশ ঘন হয় সেক্ষেত্রে
সামনের দিকে ফিশবোন বা টুইস্ট করে নিতে পারেন।
৫। সাইড খোপা :
আধুনিক যুগের মেয়েদের এই খোপাটিও বেশ জনপ্রিয় । এরকম স্টাইলিশ খোপার ডিজাইনও
অনেকটা ঝোলানো খোপার মতোই চুল আঁচড়ে নিয়ে পাশে
সিঁথি করে নিন। এবারে সামনের দিক থেকে খানিকটা চুল আলাদা করে নিন এবং টুইস্ট করে ববি পিনের সাহায্যে
কানের পিছনদিকে নিয়ে গিয়ে সেট করে দিন। এবারে বাকি চুলটা আরও একবার ভাল করে আঁচড়ে নিয়ে চাইলে টাইট করে
খোপা করতে পারেন আবার আলগোছে একটা খোপা করে
নিয়েও একপাশে রেখে দিতে পারেন। শাড়ি, আনারকলি, গাউন সব পোশাকের সঙ্গেই বেশ মানানসই
এই স্টাইলিশ খোপার ডিজাইন। কানে ঝোলানো দুল পড়তে পারেন ইচ্ছে হলে। সঙ্গে সাজ অবশ্যই মানানসই ভাবে
করে নিন।
৬। রিংলেটস-রোল :
সামনের চুলের মাঝে সিঁথি করে নিন। পনিটেল করুন। পনিটেলের অর্ধেক চুল নিয়ে তিনটি
রোল করে পিন দিয়ে আটকে নিন। বাকি চুলটা রােলার ড্রায়ার দিয়ে রিংলেটস করে নিন। রিংলেটগুলো আটকে দিন। ফলস হেয়ার পিস দিয়েও রিংলেটস
করতে পারেন।
৭। টপ নট খোপা :
ক্লাসিক টপ নট খোপা চুলের স্টাইল হিসেবে কোনও দিন পুরনো হয়না। এই হেয়ারস্টাইলে ব্যস একটু টুইস্ট
দেওয়া হয়েছে এই যা। যদি এই হেয়ারস্টাইলটা আপনি পেছন থেকে লক্ষ্য করেন, দেখবেন যে পেছনের দিকের চুলে
বিনুনির আকার দিয়ে একসাথে একটা বান তৈরি করা হয়েছে, আর এতে শুধু সামনের দিক থেকেই না, পেছনদিক থেকেও এই হেয়ারস্টাইলটা
দেখতে দারুণ লাগছে।
৮। নট জ্যাপানিজ ফ্যান :
সামনের চুল সমান ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগে একটা করে গিট বাধুন। তারপরে কানের পাশ থেকে সরু ভাগ
নিয়ে বেণী করে নট বা গিটের দিকে বা কান থেকে ডান কানে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। বাকি চুল তিন ভাগ করে রােল করে
আটকে দিন।
৯। এলোমেলো খোপা :
এলোমেলো খোপা বা ইংরেজিতে যাকে বলে খুব
কমন একটি চুল বাঁধার ডিজাইন। শুধুমাত্র ভারতীয় পোশাকের সঙ্গেই যে এই ধরনের খোপা বাঁধতে পারেন
তা নয়, পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গেও এই চুলের
স্টাইল সত্যিই মানানসই। আপনি বিয়ে বাড়িতে যান অথবা বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে, এভাবে চুল বাঁধলে আপনাকে ভালই
মানাবে। এই চুলের স্টাইলটি করতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন এবং সব
চুল সামনের দিকে নিয়ে আসুন। এবারে দু’হাতের সাহায্যে একটা খোপার ডিজাইন তৈরি করে বেশ কয়েকটি ববি পিনের সাহায্যে চুল
সেট করে নিন। একটু আধটু চুলের গোছা এদিক ওদিক বেরিয়ে থাকেও কোনও ক্ষতি নেই।
১০। ক্রিস-ক্রস বান :
মাঝে সিঁথি করে সব চুল টেনে ক্লিপ আটকে পিছনে পনি টেইল করুন। পনিটাকে দু'ধারে বড় ও মাঝে ছােট এইভাবে তিন
ভাগ করুন। ডান ধারের পনি ক্রস করে বাঁ দিকে ও বাঁ ধারের ভাগ ক্রস করে ডান দিকে লাগান। মাঝখানের সরু চুলের ভাগ বেণী |
১১। টুইস্টেড খোপা :
আপনি যদি পশ্চিমি পোশাক পরেন এবং সঙ্গে হেয়ারস্টাইল হিসেবে খোপা বাঁধতেই বেশি পছন্দ
করেন সেক্ষেত্রে টুইস্টেড খোপা বাঁধতে পারেন। এরকম খোপা বাঁধতে বেশ ধৈর্য এবং
দক্ষতার প্রয়োজন। এটা একা কারা সম্ভব নয় , কারও সাহায্যে এরকম খোপার ডিজাইন করতে পারেন।
১২। টাইট খোপা :
টাইট করে খোপা করলে মাথাব্যথা হতে পারে ঠিকী কিন্তু যদি অল্প সময়ের জন্য আপনাকে
এরকম খোপা করতে হয় সেক্ষেত্রে টাইট করে আপনি চুল বাঁধতেই পারেন। এরকম খোপার ডিজাইন দেখতে খুবই
ভাল লাগে। তবে আপনার মুখের আকার যদি সরু হয় তাহলেই এওরকমভাবে চুলের স্টাইল করুন। আপনি যদি কোন অনুষ্ঠানে যাবার
জন্য ভারি গয়না পরেন এবং সেটা একটু শো করতে চান তাহলে এইরকম হেয়ারস্টাইল আপনার জন্য। । মাঝখানে সিঁথি করে একটা সিম্পল
হাত খোপা তৈরি করে নিন ঘাড়ের কাছে। ভারি ডিজাইনের গয়নার সাথে ভারি মেকআপ এবং জমকালো পোশাক একেবারেই
ভালো লাগে না। কাজেই আপনাকে যাতে দেখতে খারাপ না লাগে সেজন্য একদম হাল্কা মেকআপ করুন। চোখে ঘন করে কাজল পরুন আর ঠোঁটের
জন্য ন্যুড শেডের লিপস্টিক বেছে নিন। যদি শাড়ি পরেন তাহলে একপল্লা করে পরুন, আর চেষ্টা করুন হাল্কা রঙের এবং
সিম্পল ডিজাইনের শাড়ি পরতে।
১৩। বিনুনি খোপা :
এলিগ্যান্ট ও স্টাইলিশ খোপার ডিজাইন করতে চাইলে এরকমভাবে খোপা বাঁধতে পারেন। বিনুনি স্টাইলে খোপা কিন্তু যেকোনোও
সময়েই সব রকম অনুষ্ঠানে মানানসই। আপনি চাইলে মাঝখানে অথবা পাশে সিঁথি করে এই ধরনের চুলের স্টাইল
করতে পারেন। আপবার চাইলে সিঁথি নাও করতে পারেন। বিনুনি খোপা অনেকভাবে করা যায়। এখানে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিটি বলছি। চুল একসঙ্গে নিয়ে বিনুনি করে
নিন। মনে হলে তিনটি আলাদা আলাদা বিনুনি
করুন। এবারে দু’দিকের বিনুনির সঙ্গে মাঝখানের
বিনুনিটি জুড়ে দিন এবং একসঙ্গে একটি খোপা বেঁধে নিন। সঙ্গে অবশ্যই অনুষ্ঠান অনুযায়ী
মানানসই সাজ করুন।
১৪। বোকে খোপা :
বিয়ের কনের সাজের জন্য এরকম খোপার ডিজাইন উপযুক্ত। নানা রঙের অথবা শাড়ির রঙের সঙ্গে
ম্যাচ করে অনেকগুলো গোলাপ নিয়ে আসুন। এবারে খোপা করে নিন এবং প্রত্যেকটি গোলাপ সুন্দর করে খোপার চারদিকে
লাগিয়ে দিন (স্টাইলিশ খোপা)। এমনভাবে এই চুলের স্টাইলটি করুন যাতে বাইরে থেকে আপনার খোপাটি
দেখাই না যায়।
১৫। হাত খোপা :
যে-কোনো অনুষ্ঠানে, যে-কোনও পোশাকের সঙ্গেই হাত খোপা
মানানসই একটি চুলের স্টাইল । যখন হাতে সময় কম তখন এ ধরনের খোপা করা যেতে পারে। এই হাত খোপাও বেশ সুন্দর করে
ডিজাইন করা যায়। চাইলে যেকোনোও এক পাশে একটা গোলাপ (চুলের খোপার ডিজাইন) লাগাতে পারেন। আবার জুঁই বা বেলফুলের মালাও
লাগাতে পারেন। কিছুই না করতে চাইলে সিম্পল একটা নেট লাগিয়ে খোপাটি সেট করে নিতে পারেন। হাত খোপার সঙ্গে কিন্তু শাড়িটাই বেশি মানানসই। মেকআপ হিসেবে কাজল ও লিপগ্লস
ছাড়া আর কিছু প্রয়োজন নেই।
১৬। গোলাপ খোপা:
বিয়ের অনুষ্ঠানে এরকম চুলের স্টাইল খুব মানানসই। সুন্দর করে নিজের পছন্দ মতো খোপা
বাঁধুন এবং বেশ কয়েকটি গোলাপ আটকে দিন খোঁপায়। একটা গোলাপ লাগাবেন না। যদি আসল গোলাপ না পান সেক্ষেত্রে
নকল গোলাপের মালা পাওয়া যায়, সেটি কিনে লাগিয়ে নিন। শাড়ির সঙ্গে দেখতে ভাল লাগবে । তার সাথে মানাসইভাবে মেকআপ করুন।
১৭। চোটি খোঁপা :
মাথায় জিগজ্যাগ সিথী করে নিন। সামনের চুল পেছনে টেনে ক্লিপ লাগিয়ে নিন যাতে টাইট থাকে। পেছনের চুল টাইট করে রাবার ব্যান্ড
লাগিয়ে নিন। রাবার ব্যান্ড লাগানো চুল তিন ভাগে ভাগ করে নিয়ে তিনটি বেণী করুন। মাঝের বেণীর উপরে তুলে ক্লিপ
লাগান। কাল কেন সমানভাবে উপরে তুলে ক্লিপ করুন। বেণীর শেষ অংশ দুটো নীচে এনে জল লাগানাে হয়েছে। সবশেষে ছবি অনুযায়ী মুক্তোর বিল্ডস
লাগিয়ে নিন।
১৮। জোড়া-চোটি ছোট :
প্রথমে সিথি করে নিন। সামনের চুল ব্রাশ করে করে পিন করে নিন। সব চুল রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে দিন। এক ভাগ রেখে বাকি অংশের চুল দিয়ে
ছোট ছোট রোল করে দিন। মাথার উপরে যে ভাগটা রয়ে গেল তার থেকে অল্প চুল নিয়ে জরির ফিতে দিয়ে। বেণী বাঁধা হবে। বাকি চুল দিয়ে একটা বেণী করে
জরি-বাঁধা বেণী তার সঙ্গে জাড়িয়ে, নীচেরটা জরি দিয়ে বেঁধে দিন।
১৮। ডবল খোপা :
অনেক মহিলাদের দেখা যায় অনেক চুলের অধিকারী যাদের মাথায় চুলের গোছও খুব ভাল আর চুল লম্বাও। তাঁদের সাধারনত ডবল খোপা করা
যেতে পারে। এরকম চুলের স্টাইল দেখতেও অন্যরকম লাগে। প্রথমেই চুল আঁচড়ে নিয়ে দুভাবে ভাগ করে নিন। সামনের দিকের চুল একসঙ্গে করে
নিয়ে খোপা করে নিন এবং ববি পিন দিয়ে আটকে নিন। এবারে পিছনদিকের চুলেও খোপা করে
একইভাবে ববি পিন লাগিয়ে নিন। ব্যাস হয়ে গেল আপনার ডবল খোপা। চাইলে একটু অন্যরকম ভাবেও এই
খোপার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাঝখান থেকে একটু চুল নিয়ে দুটো খোপা একসঙ্গে জুড়ে দিন এবং প্রয়োজনমতো
পিন আটকে নিন।
২০। ব্যাক ব্রাশ ফ্রেঞ্জ রোল : ব্যাক
ব্রাশ ফ্রেঞ্জ রোল বক ব্রাশ করে চুল একদিকে আঁচড়ে ক্লিপ লাগাতে হবে। চুলটা এ ফ্রেঞ্চ রোল করুন।
২১। বিয়ের খোপা :
বিয়ে সবার জীবেনে একবারই আসে তাই বিয়ের দিন কীরকম ভাবে চুল বাঁধবেন সেটা নিয়ে চিন্তার
কোন কারণ নেই তবে মনে রাখবেন এই খোপার ডিজাইনটি এই ধরনের হেরস্টাইল করলে আপনার দিক থেকে শুধু আপনার
হবু স্বামিই নন, বিয়েবাড়িতে উপস্থিত কোন অতিথিই
চোখ ফেরাতে পারবেন না! এই খোপা করতে হলে সামনের দিক থেকে চুলে নট করতে করতে পেছনে নিয়ে
যান এবং সবকটা চুলের গোছা একসাথে পিন দিয়ে সেট করে নিন। এবারে পেছন দিকের চুল নিয়ে একসাথে
লো বান করে নিন (চুল বাধার ডিজাইন)। সঙ্গে অবশ্যই ফুলের মালা দিতে ভুলবেন না। যদি আপনি শাড়ি পরেন এবং ওড়না
নেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ফুলের মালা
লাগান, তবে যদি আপনি লেহঙ্গা পরেন এবং
মাথায় ওড়না না নেন, সেক্ষেত্রে অবশ্য নকল ফুলের ফ্যানসি
গজরা লাগাতে পারেন।
