বৌ সাজ নিজের মতো করে
বৌসাজ এর নানা ঢং নানা ধরন :
বৌ সাজ
সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা
বিয়ে জীবনের বিশেষ একটি মুহূর্ত। তাই বিয়ের সাজে গরুত্ব
অনেক। বিয়ের সাজে কনের
চোখ বা ঠোঁট সুন্দর করে সাজাতে হবে। চাইলে চুলের ভিন্নতায় বিশেষ পরিবর্তনও আনা যেতে
পারে। আদি কাল থেকে বর্তমানেও
বিয়ের সাজে লাল শাড়ি, লাল লিপস্টিক ছাড়া বউয়ের সাজ ভাবাই যায় না। তবে দিন বদলেছে, বউ সাজে এসেছে অনেক
পরিবর্তন বউ সাজে লাল রং শাড়িতে সাথে সাজতে হলে ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কনসিলার লাগান
চোখের নিচে,
মুখের কালো
দাগ বা ব্রণে। ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন দিন সারা মুখে। এক শেড হালকা রঙের
ফাউন্ডেশন দিন গালে, কপালের মাঝে, থুতনি ও নাকের ওপরের অংশে। ডার্ক কালারড ফাউন্ডেশন
দিয়ে কন্টোরিং করুন চিকবোন, নাকের দু’পাশ ও গালের যে কোনো ফোলা অংশ। গালে লাগান ব্রাউন
বল্গাশন।আইশ্যাডো দিন। কালো লিকুইড আইলাইনার দিয়ে মোটা রেখায় চোখ আঁকুন। নিচের পাতায় মোটা
রেখায় কাজল লাগান। ঘন করে মাশকারা লাগান চোখের পাপড়িতে। ব্রাইডাল লুকে লিপ
প্রমিনেন্ট করতে রেড লিপলাইনার দিয়ে লিপ আঁকুন। এরপর রেড লিপস্টিক
দিয়ে ঠোঁট দু’টোকে ভরুন।
এই কাজটটির বর্ণনা নি¤েœ বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো।
বৌ সাজে মেকআপ:
মেকআপ স্কিন টোনের সাথে ম্যাচ করে এমন মেকআপ ব্যবহার করবেন। ‘টাচ’রেঞ্জের এই অ্যারোম্যাটিক
প্যান কেক,অ্যারোম্যাটিক প্যান
স্টিক, অ্যারোম্যাটিক লিকুইড
ফাউন্ডেশন,
অ্যারোম্যাটিক
কম্প্যাক্ট পাওডার আর মেকআপ ফিক্স ট্রান্সলুসেন্ট পাওডার তিনটে শেডে পাওয়া যায়।এগুলি ফর্সা,উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
কঝঅ শেড, মাঝারি ত্বকের জন্য
কঝই শেড আর আপনার স্কিন টোন যদি ডার্ক হয়, তাহলে কঝঈ শেড ব্যবহার করুন।শাইন লুজ পাওডার
গোল্ড আর পার্ল এই দুটো শেডেই পাওয়া যায়। মুখে ওয়ার্ম আন্ডারটোন
দেবার জন্য গোল্ড শেড আর কোল্ড আন্ডারটোন দেবার জন্য পার্ল শেড ব্যবহার করুন।
কনসিলার ও ফাউন্ডেশন :
ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কনসিলার লাগান চোখের নিচে, মুখের কালো দাগ বা
ব্রণে। ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন দিন সারা মুখে। এক শেড হালকা রঙের
ফাউন্ডেশন দিন গালে, কপালের মাঝে, থুতনি ও নাকের ওপরের অংশে। ডার্ক কালারড ফাউন্ডেশন
দিয়ে কন্টোরিং করুন চিকবোন, নাকের দু’পাশ ও গালের যে কোনো ফোলা অংশ। গালে লাগান ব্রাউন
বল্গাশন। বিয়েতে কনে সাজের বিভিন্ন শাড়ি, লেহেঙ্গা ইত্যাদিতে
খুব একটা পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে বিয়ের শাড়ি বা এর অনুষঙ্গ উজ্জ্বল রঙের হওয়া
চাই। কনের উজ্জ্বল পোশাকের
সঙ্গে চাই একটুখানি আলতো মেকআপের ছোঁয়া। তাই কনের সাজে মেকআপের
জন্য বল্গাশন ও চোখের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হয়। নন-শেড স্মোকি চোখের
মেকআপ আমাদের মেকআপের ধরনের মূল আকর্ষণ হয়ে ফুটে উঠবে।
চোখের সাজ :
প্রথমেই আইব্রো প্লাক করে নিন তারপর আইব্রো পেন্সিল দিয়ে সূক্ষ্ম
রেখায় আইব্রো আঁকুন। গ্রে ও ব্ল্যাক শ্যাডো লাগান। আইব্রোর ঠিক নিচে
হাইলাইট করুন গোল্ডেন আইশ্যাডো বা হাইলাইটার দিয়ে। রেড আইশ্যাডো দিয়ে
রাঙিয়ে নিন চোখের ওপরের পাতা। ব্ল্যাক শ্যাডো দিন চোখের ভাঁজে ও বাইরের কোনায়। চোখের ভেতরের কোনায়
অল্প সিলভার আইশ্যাডো দিন। কালো লিকুইড আইলাইনার দিয়ে মোটা রেখায় চোখ আঁকুন। নিচের পাতায় মোটা
রেখায় কাজল লাগান। ঘন করে মাশকারা লাগান চোখের পাপড়িতে।
আইশ্যাডো ও মাশকারা :
চোখের অংশে আইশ্যাডো দিন। কালো লিকুইড আইলাইনার
দিয়ে মোটা রেখায় চোখ আঁকুন। নিচের পাতায় মোটা রেখায় কাজল লাগান। ঘন করে মাশকারা লাগান
চোখের পাপড়িতে।
লিপলাইনার ও লিপস্টিক
:
ব্রাইডাল লুকে লিপ প্রমিনেন্ট করতে রেড লিপলাইনার দিয়ে লিপ আঁকুন। এরপর রেড লিপস্টিক
দিয়ে ঠোঁট দু’টোকে ভরুন।
বৌ সাজে বিভিন্ন মেকাপের ব্যবহার স¤œন্ধে বলা হলো :
বৌ সাজটি যদি হাই কোয়ালিটির
হয় সে স¤œন্ধে কিছু মেকাপ
এর নাম ও প্রয়োগ পদ্ধতি
১.অ্যারোম্যাটিক প্যান কেক :
প্রফেশনাল বডি মেকআপ যদি করতে চান,তাহলে কেয়া শেঠের
এই স্পেশাল অ্যারোম্যাটিক ‘টাচ’প্যান কেক মেকআপ ব্যবহার করুন। আপনার মুখের স্কিন
আর বডির টোনের জন্য এটা কিন্তু একদম পারফেক্ট। তবে এটা যদিও মূলত
বডি মেকআপের জন্যই ব্যবহৃত হয়,তবে আপনি এটা মুখেও ব্যবহার করতে পারেন ভারী মেকআপের বেস হিসেবে।এই অ্যারোম্যাটিক
প্যান কেক ক্যালেনডুলা,চন্দনের গুঁড়ো আর প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার দিয়ে তৈরি,যা আপনার ত্বককে
মসৃণ আর নরম রাখবে।
২। অ্যারোম্যাটিক প্যান স্টিক:
এটা হল ফাউন্ডেশন,যা আপনি কনসিলার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার ত্বকের সাথে
এটা খুব সহজেই মিশে গিয়ে ত্বককে সুন্দর একটা ফিনিশ দেয়। তাছাড়া ত্বকের দাগ
লুকোতেও এর জুড়ি নেই। তবে প্যান স্টিক ব্যবহার করার আগে কিন্তু আপনার
ত্বককে ভালো করে ময়েশ্চারাইজড করে নিতে ভুলবেন না।
৩। অ্যারোম্যাটিক লিকুইড ফাউন্ডেশন
কেয়া শেঠের এই স্পেশাল রেঞ্জের লিকুইড ফাউন্ডেশনের মধ্যে আছে
এসেনশিয়াল অয়েল। এই ফাউন্ডেশনটা আপনার ত্বকের সাথে খুব ভালোভাবে
মিশে যেতে পারে। ফলে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে উঠে যাবার সম্ভাবনা একেবারেই
নেই।আর মেকআপ করে যদি
আপনাকে রোদে ঘুরে বেড়াতে হয়,তাহলেও চাপ নেই। এই লিকুইড ফাউন্ডেশনটি এস.পি.এফ.১৫ যুক্ত।তাই যত খুশি রোদে
যান, ট্যানও পড়বে না,আর মেকআপও গলবে না।এই ‘টাচ’রেঞ্জের অ্যারোম্যাটিক
কম্প্যাক্ট পাওডার ব্যবহার করেন, তাহলে কিন্তু এই উপাদানগুলোর উপকারিতা আপনি সহজেই পাবেন। আপনার মেকআপকে যদি
পারফেক্টলি শেষ করতে চান, তাহলে এই পাওডার ব্যবহার করতেই পারেন। এটির ব্যবহার এর
ফলে দেখবেন আপনার ত্বক নিখুঁত আর উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে!
৫। মেকআপ ফিক্স ট্রান্সলুসেন্ট পাওডার
এই মেকআপ ফিক্স ট্রান্সলুসেন্ট পাওডার যদি আপনি ব্যবহার করেন,তাহলে দেখবেন আপনার
ত্বকে কেমন গ্লো এসেছে! মেকআপের একটা স্বাভাবিক ফিনিশ দিতে আর আপনার প্রিয় মেকআপ যাতে
ঘামে না ভিজে যায়,সেজন্য আপনি এটা ব্যবহার করতেই পারেন।এতে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ীও
হবে।এই পাওডারে এস.পি.এফ.২৫
যুক্ত আছে। ফলে আপনার মেকআপ যদি দিনের জন্য হয়,তা হলে আরামসে ব্যবহার
করুন। দেখবেন হাজার রোদেও
আপনি ঝকঝকে থাকছেন।
৬। শাইন লুজ পাওডার
মেকআপেই মাধ্যমে আপনি যদি সৌন্দর্যে চমকে আনতে চান,তাহলে এই ‘টাচ’ শাইনি লুজ পাওডার
ব্যবহার করুন।এটা না শুকিয়েই আপনার ত্বককে ম্যাট ফিনিশ দেয় আর ত্বকের সাথে
খুব ভালো করে মিশেও যায়।ফলে যদি মেকআপের শেষে দেখেন যে আপনার মেকআপটা তেমন খোলতাই হল
না,তখন মন খারাপ না
করে ঝটপট এই শাইনি লুজ পাওডার ব্যবহার করে ফেলবেন।দেখবেন মেকআপ কেমন
সৌন্দর্য ও সাইনিং ছড়াচ্ছে!
৭। কেক লাইনার
এই কেক লাইনার একদম প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি। তাছাড়া কেকের মতো
বলে লাগানোও সোজা। এটাকে আপনি আইলাইনার বা মাস্কারা-দুভাবেই ব্যবহার
করতে পারেন।দেখবেন চোখে জ্বালাও করছে না।
৮। আই-স্টিক কাজল
যে কোনো মেকআপেই কাজল মাস্ট। কেয়া শেঠের এই ‘টাচ’আই-স্টিক কাজল সম্পূর্ণভাবে
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি। তাছাড়া এটা আপনাকে ঘন কালো রঙে চোখকে ড্রামাটিক
করে সাজিয়েও তুলতে সাহায্য করবে।
৯। কোন শেড বাছবেন
তবে মেকআপে সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য পারফেক্ট শেড কিন্তু
মাস্ট। তাই মেকআপ কেনার সময় ভালো করে দেখে নেবেন যে তা
আপনার স্কিন টোনের সাথে ম্যাচ করছে কিনা।
‘টাচ’রেঞ্জের এই অ্যারোম্যাটিক প্যান কেক,অ্যারোম্যাটিক প্যান
স্টিক, অ্যারোম্যাটিক লিকুইড
ফাউন্ডেশন,অ্যারোম্যাটিক কম্প্যাক্ট
পাওডার আর মেকআপ ফিক্স ট্রান্সলুসেন্ট পাওডার
তিনটে শেডে পাওয়া যায়।এগুলি ফর্সা,উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কঝঅ শেড, মাঝারি ত্বকের জন্য
কঝই শেড আর আপনার স্কিন টোন যদি ডার্ক হয়, তাহলে কঝঈ শেড ব্যবহার করুন। শাইন লুজ পাওডার
গোল্ড আর পার্ল এই দুটো শেডেই পাওয়া যায়। মুখে ওয়ার্ম আন্ডারটোন
দেবার জন্য গোল্ড শেড আর কোল্ড আন্ডারটোন দেবার জন্য পার্ল শেড ব্যবহার করুন। পার্টি-বিয়েবাড়িতে
মেকআপে মাধ্যমে ত্বককে তরতাজা আর উজ্জ্বল রাখতে
ব্যবহার করুন।
