হেয়ার কাট বিভিন্ন প্রকার
হেয়ার কাট ও হেয়ার ডিজাইন :
চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে ও চুল সুন্দর করে সাজাতে সবাই নিজের চুল
কম বেশি কেটে থাকেন। তবে পার্লারে আমরা সাধারনত ইউ কাট, ডায়না কাট , ব্যাংক্স কাট লেয়ার
কাট দিয়ে থাকি। নি¤েœ চুলের বিভিন্ন কাট কিভাবে কাটেত হয় তার
বর্ণনা দেয়া হলো :
লেয়ার কাট :
চুুল কাটিং এর মধ্যে লেয়ার কাট বেশি জনপ্রিয়। লেয়ার কাটে চুলকে
কয়েকটি ধাপে কাটা হয়ে থাকে। ধাপে ধাপে কাটা হয় বলে এটিকে লেয়ার কাট
বলে। পার্লারে চুলের
এই কাটটি বেশি করা হয়।
চুল কাটতে যা যা লাগবে
১। চিরুনী
২। হেয়ার কাটিং কাঁচি ৩। রাবার ব্যান্ড
পদ্ধতি :
১। প্রথমে চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
২। ফ্ল্যাট আয়রন থাকলে সেটি দিয়ে চুল আয়রন করে সোজা
করলে ভালো হয়। এতে চুল সমান থাকবে
এবং চুল সমান করে কাটা যাবে।
৩। এরপর সম্পূর্ণ চুল দিয়ে উঁচু করে একটি ঝুঁটি বাঁধুন। সেই ঝুঁটি সমান
দূরত্বে দুটি রাবার ব্যান্ড দিয়ে বাঁধুন। এবার শেষের অংশ
(আগার অংশটুকু) কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলুন।
৪। এরপর বাকি চুলগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করে রাবার ব্যান্ড
দিয়ে লাগিয়ে রাখুন,
তারপর কাটিং কাঁচি দিয়ে চুল কেটে ফেলুন। চুল কাটার পর ভালো
করে লক্ষ্য করুন চুলগুলো সমান হয়েছে কিনা।
৫। হেয়ার স্প্রে দিয়ে চুল সেটিং করে নিন। ব্যাস হয়ে গেল
লেয়া কাট।
লম্বা চুলের দেশি কাটিং:
বাঙালি নারী মানেই দীর্ঘ ঘন কালো চুল। যাদের চুল একটু
ঘন, তারা চুলগুলো একটু
ফুলিয়ে নিয়ে পেছনের দিকে টেনে হেয়ার ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখতে পারেন সহজেই। আর যারা টিনএজার, তারা হেয়ার ব্যান্ড
ব্যবহার করতে পারেন। লম্বা চুলের লেন্থ-এ ভিন্নতা ও আপনার পছন্দ এবং
স্টাইল অনুযায়ী লেয়ার, ব্যাংস, ভলিউম লেয়ার, স্টেপ-এর সাথে
পছন্দসই চুল কাট দিতে পারেন।
ছোট ছাঁচের বব কাট হেয়ার স্টাইল:
বব কাট মানেই শত রকমের এক্সপেরিমেন্ট। মুখের শেপ-এর সাথে
মানিয়ে নিয়ে আপনিও ট্রাই করতে পারেন বিভিন্ন ধরণের বব কাট। এক্ষেত্রে একটু
গোলগাল মুখের মেয়েদের জন্য এ-লাইন বব কাট (যা র্যাচেল কাট নামেও পরিচিত) হতে পারে
পারফেক্ট। এ-লাইন বব কাটের জন্য সামনের দিকে প্রায় থুতনি
পর্যন্ত চুল রেখে পেছনের দিকে কিছুটা ছোট করে চুল কাটতে হবে। আউটলুক অনুযায়ী
কখনো মাঝ বরাবর আবার কখনো একটু পাশে সিঁথি করে আনতে পারেন ভিন্নতা। এ-লাইন বব কাটের
বাইরে, সামনের দিকের চুলগুলো
প্রায় কাঁধ পর্যন্ত লম্বা রেখে পেছনের চুলগুলো বেশ খানিকটা ছোট করেও বাজ কাট করা যেতে
পারে। যেহেতু সামনের
দিকের চুলগুলো তুলনামূলকভাবে বড় থাকে, তাই একটু ব্যাংস করে হেয়ার স্টাইল করতে
পারেন।
শোল্ডার লেন্থ বব কাট :
কাঁধ পর্যন্ত সমান করে ছেঁটে নেওয়া কেই শোল্ড লেন্থ বব কাট। এক্ষেত্রে খুব
বেশি লেয়ার ব্যবহার না করে, চুলগুলো একদম সোজা রাখাটাই ভালো। আর ভিন্নতা নিয়ে
আসুন আপনার সিঁথি কোন পাশে করছেন তার উপর ভিত্তি করে। চাইলে আরও একটু
ছোট করে থুতনি পর্যন্ত ছেঁটে নিয়ে চিন লেন্থ বব কাট হেয়ার স্টাইলও ট্রাই করে দেখতে
পারেন, যদি আপনার মুখায়ব
একটু লম্বাটে হয়ে থাকে। শোল্ডার লেন্থ বব কাটের পর কাঁচি দিয়ে কিছুটা
এলোমেলোভাবে কেটে ট্রাই করুন শ্যাগি বব। এক্ষেত্রে একটু
সিম্পল হেয়ার কাটিং-এই আপনি বৈচিত্রতা আনতে পারেন হেয়ার ডিজাইন-এর উপর ভিত্তি করে। তবে খেয়াল রাখতে
হবে যেন খুব বেশি ছোট অথবা খুব বেশি বাঁকা না হয়ে যায়। শ্যাগি বব-এর জন্য
চুলের ডিজাইন একটু ফুলিয়ে রাখতে পারলে সুন্দর লাগবে।
পিক্সি হেয়ার স্টাইল:
একদম ছোট চুলের পিক্সি হেয়ার স্টাইলের ট্রেন্ড ৯০ দশকে শুরু
হলেও, ইদানিং তা আবার
ফ্যাশন-এ পরিণত হচ্ছে। যাদের ফেস শেপ একটু ছোট ধাঁচের, তাদের পিক্সি হেয়ার
স্টাইলে ভালো দেখাবে পিক্সি হেয়ার স্টাইলের জন্য প্রথমেই খেয়াল রাখবেন, চুলের যেন কোন
ধরণের ক্ষতি না হয়। চুলের ডিজাইন-এ ভিন্নতা নিয়ে আসুন- পেছন থেকে
আন্ডারকাট করে সামনের দিকে কপালের উপর একটু কোঁকড়া করে নিয়ে। এছাড়া লেয়ার করে
কপালে ও ঘাড়ের উপর ছড়িয়ে দিয়েও আনতে পারেন এলিগেন্ট লুক। পিক্সি হেয়ার স্টাইলে
আপনার মুখের শেপ অনুযায়ী একটু ওয়েভ অথবা কার্ল করেও আনতে পারেন নতুনত্ব। অনেক সময় কিছুটা
অবিন্যস্তভাবে ছেঁটে নিয়ে, অর্থাৎ চপ করে নিলেও হেয়ার স্টাইল-এ চলে আসে ট্রেন্ডি লুক। চুল কাটা শুরু
করার আগেই হেয়ার এক্সপার্ট-এর সাথে পরামর্শ করেনিন একাটটি আপনাকে মানাবে কিনা।
লং লেয়ারড হেয়ার কাট:
লং লেয়ারড হেয়ার কাটটি তরুণীদের কাছে খুব পছন্দের। কারণ এই হেয়ার
কাটটি প্রায় সব শেইপের চেহারায় সহজেই মানিয়ে যায়।
চুল কাটতে যা যা লাগবে
যেকোন হেয়ার কাটের জন্য তিনটি জিনিস দরকার : শার্প কেঁচি, চিরুনি এবং হেয়ার
থিনিং সিজর। তবে যদি কারো হেয়ার
থিনিং সিজর না থাকে তবে নরমাল সিজর দিয়ে করতে
চাইলেও করতে পারেন। তবে পার্লারের মতো ফিনিশিং চাইলে থিনিং হেয়ার
সিজর থাকা লাগবেই।
পদ্ধতি :
১। প্রথমে আপনাকে
চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। চুল হালকা ভেজা থাকলে ভালো সিল্কি স্মুদ
চুল হলে ভেজানো লাগবে না। অপরিষ্কার চুলে কখনই হেয়ার কাট ভালো হবে না কাজেই
চুল শ্যাম্পু করে ঝট ছাড়িয়ে তবেই চুল কাটতে বসুন।
২। তারপর সব চুল সামনের দিকে উল্টে নিন। এবার ভালো করে
আবার আঁচড়ে নিন। পনিটেল/ ঝুঁটির মতো করে একদম হেয়ার লাইন ঘেঁষে
রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে নিন।
এবার ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসুন। চিন বা থুঁতনি
বরাবর আরেকটি রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেধে নিন। এখন একেবারে চুলের
আগার কাছে চলে যান। চুল যতটুকু লম্বা রাখতে চান তার ঠিক নিচে আরেকটি
রাবার ব্যান্ড লাগিয়ে নিন।
৩। এবার কাটার পালা। এই ধাপে চুলের
আগায় চলে যান। রাবারের উপরের অংশে শার্প কেঁচি দিয়ে কেটে নিন। চুল ছেড়ে দিন । চাইলে আঁচড়ে নিন। চুল ছড়িয়ে দেখুন
হাফ মুন শেইপে এসেছে কিনা।
৪। এবার
দ্বিতীয় রাবার ব্যান্ডটি খুলে ফেলুন। কেবল হেয়ার লাইন
বরাবর করা পনিটেলটি থাকবে। এবার এই পনিটেলের চুলগুলোকে তিনভাগে ভাগ
করে আলাদা তিনটি রাবার ব্যান্ড দিয়ে পৃথক তিনটি পনিটেল করে নিন। এবার ঠিক আগের
মতো যেকোন একটি সাইড পনিটেল নিয়ে মধ্যমা এবং তর্জনী আঙুলের মাঝে ঝুঁটির শেষের অংশের
চুল সামান্য ছড়িয়ে নিন। চুলের সাথে অ্যাঙ্গেল পজিশনে প্যারারালি রেখে
কেঁচি চালিয়ে যাবেন। তারপর থিনিং হেয়ার সিজর দিয়ে হালকা করে ছেঁটে
নিন।
৫। এভাবে বাকি ২টি ঝুঁটিগুলো কেটে নিন। এবার রাবার ব্যান্ড-গুলো
খুলে ফেলুন। আঁচড়ে নিন। ছড়িয়ে দিলে দেখবেন
হালকা ইউ শেইপ ধারণ করেছে। এবার হেয়ার লাইন ঘেঁষে বেঁধে রাখা রাবার
ব্যান্ডটিও খুলে ফেলুন। আবার আঁচড়ে নিন। ব্যাস হয়ে গেল
লেয়ারড হেয়ার কাট ।
সাইড সোয়েপ্ট ব্যাংগস কাট
ব্যাংগস হাল ফ্যাশানের সব নারীদের কাছে খুবই পরিচিত এবং পছন্দের
হেয়ার স্টাইল। বিগত কয়েক বছর ধরে ফ্রন্ট হেয়ার স্টাইলের জন্য
ব্যাংগস অনেক খানি জায়গা দখল করে আছে। আগে আমরা শুধু এক ধরনের ব্যাংগসের কথাই
জানতাম। কিন্তু এর জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে হেয়ার স্টাইলিস্টরা
কয়েক ধরনের ব্যাংগস এর উদ্ভাবন করেছেন। কারণ সব ধরনের ব্যাংগস সবাইকে মানায় না। আজ আমরা দুই ধরনের
ব্যাংগস কাট সম্পর্কে জানবো।
চুল কাটতে যা যা লাগবে
১। একটি রাবার ব্যান্ড, ২। চুলের ক্লিপ, ৩। কাঁচি, ৪। স্প্রে বোতল (
চুলে পানি স্প্রে করার জন্য), ৫। চিরুনি
সাইড সোয়েপ্ট ব্যাংগসঃ
১। প্রথমে চুল চিরুনি দিয়ে ভালো করে আঁচড়ে নিন যেন
কোন জট না থাকে। তারপর সামনের দিকের চুল গুলো চোখের সামনে নিয়ে
আসুন। চুল গুলো ডানে
অথবা বামে পার্ট করে নিন। আপনি আপনার ব্যাংগসের ঘনত্ব কতটা চান সেটির উপর
নির্ভর করে সামনের চুল গুলো সাইডে নিতে হবে এবং বাকি চুল গুলো ক্লিপ দিয়ে আটকে দিতে
হবে।
২। এরপর যে চুল গুলো কাটবেন সেগুলো স্প্রে বোতলের
পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এতে চুল কাটতে সুবিধা হবে। এবার নির্ধারণ
করুন আপনার ব্যাংগস এ সবচেয়ে লম্বা চুলটি কতটুকু হবে। ধরে নিলাম চোখের
কোণা পর্যন্ত হবে আপনার লম্বা চুলটি।
৩। চুল কাটতে হবে মুখের চোয়ালের দিকে অ্যাঙ্গেল করে। চুল গুলো সুইপিং
মোশনে কাটার চেষ্টা করতে হবে। কাঁচিটিও একটু বাঁকা ধরে কাটতে হবে চুল
গুলো বাঁকা ভাবে ততক্ষণ সাইজ করতে কাটতে থাকুন
যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি আপনার মনেরমত লেংথ পাচ্ছেন। এরপর চিরুনি দিয়ে
আঁচড়ে দেখুন তো ব্যাংস হয়ে গেলো আপনার সাইড সোয়েপ্ট ব্যাংগস।
ব্যাণ্ট ব্যাংগসঃ
এই কাটটি লম্বা চুলের মেয়েদের বেশ ভালো মানাবে। প্রথমে চুল চিরুনি
দিয়ে আঁচড়ে নিয়ে সামনের চুল যেগুলো কাটতে চান সেগুলো বাদে বাকি গুলো পনি টেইল করে নিন। সামনের চুল গুলো
আঁচড়ে সামনের দিকে মানে কপালের উপরে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে
ভিজিয়ে নিন। চুলের অবস্থান এই ছবিতে দেখে নিন। এই কাটে চুল গুলো
সাধারণত কপালের উপর ছড়িয়ে থাকে। তাই আপনি হিসাব করে নিন কত টুকু চুল আপনি
কাটবেন। তবে চেষ্টা করবেন ভ্রু পর্যন্ত চুল গুলো রাখতে। এতে কপালের উপর
চুল গুলো ছড়িয়ে থাকলে দেখতেও ভালো লাগবে আবার আপনার বিরক্তির কোন কারণ হবে না। এবার সামনের চুল
গুলো সব একসাথে করে নিয়ে কম চুল হলে আঙ্গুলের ফাঁকে চেপে ধরুন। কিন্তু যদি ঘন
চুল হয় তাহলে চিরুনিকে দিক নির্দেশনা হিসেবে ব্যবহার করে চুল কাটুন এবার সোজা করে চুল
গুলো কেটে ফেলুন। হয়ে গেল আপনার ব্যাণ্ট ব্যাংগস।
চুলের স্টাইলে লেয়ার কাট যায় বিভিন্ন দৈর্ঘ্যে কাটা যায়। তবে কাটের ধরন
র্নির্ভর করে চুলের ঘনত্ব আর দৈর্ঘ্যরে ওপর। নি¤েœ এ সম্পর্কে আলোচনা
করা হলো :
চুলের ধরন বুঝে
কোঁকড়া চুলে মানায় ষ্টাইস ভলিউম লেয়ার। খুব ছোট চুলে মিডিয়াম, স্টাইস বা ভলিউম-
কোনোটাই মানানসই নয়। তবে শর্ট বা ইমো লেয়ার ছোট চুলে মানানসই। লম্বা চুলের জন্য
লং লেয়ার। দুই পাশের চুল লেয়ার করে কেটে পেছনের অংশে স্ট্রেইট
বা ভি কাট দিতে পারেন। প্রথম লেয়ারটি চোখের পাশ ঘেঁষে শুরু হয়ে ক্রমে
কাঁধ পর্যন্ত আসবে। এ ধরনের হেয়ার কাটটি লম্বাটে বা ডিম্বাকার মুখের
সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়।
নানা রকমের লেয়ার কাট
শর্ট
যাদের ছোট ও স্ট্রেইট চুল তাদের জন্য শর্ট লেয়ার মানানসই। এই স্টাইলে চোখের
পাশ থেকে লেয়ার শুরু হয়। পেছনে স্টেপ কাট আর চুলের লেংথ থাকবে গলা পর্যন্ত। শর্ট লেয়ারের রয়েছে
নানা স্টাইল। যেমন- কোঁকড়া চুলের জন্য শর্ট লেয়ার, মুলেট লেয়ার ও
শর্ট ব্লান্ট লেয়ার। বব কাটের জন্য শর্ট লেয়ার হবে সামনে লম্বা রেখে।
মিডিয়াম
মাঝারি লেংথের চুলের জন্য মিডিয়াম লেয়ার ভালো। ডিম্বাকার, গোলাকার ও লম্বাটে
মুখের সঙ্গে মানায়, তবে চুল স্ট্রেইট হলে ভালো হয়। এই স্টাইলে সিঁথি
মাঝে বা পাশে হলে খারাপ দেখায় না। ইচ্ছেমতো হেয়ার এক্সসেরিজ ব্যবহার করা
যায়।
ইমো
যাদের মুখের গড়ন পাতলা ও ছোট, কিছুটা চায়না মেয়েদের
মতো দেখা যায় এই কাট তাদের জন্য। স্ট্রেইট ও ছোট চুলে মানানসই। এর কাট তেড়ছা বলে
চুলে রং করা থাকলে খুব সহজেই চোখে পড়ে।
ভলিউম
বড় গড়নের মুখের সঙ্গে মানানসই। ঘন ও বড় চুলে বেশ
চলছে। এই কাটে চুলের
ভলিউম অনেক বেশি দেখায়। অবশ্য চুল হতে হবে স্ট্রেইট। এই স্টাইলে লেয়ার
শুরু হয় কানের দুই পাশ থেকে এবং সামনের ও পেছনের চুল সমান ভাগ করে লেয়ার কাটা হয়।
স্টাইস
যেকোনো মুখের গড়নের সঙ্গে মানিয়ে যায় এই হেয়ার কাট। চুলের লেন্থ বুঝে
শর্ট, লং ও মিডিয়াম লেয়ার
করতে পারেন। যত বেশি লেয়ার হবে, তত সুন্দর দেখাবে। অল্প কোঁকড়া বা
রুক্ষ চুলেও স্টাইস লেয়ার করা যায়।
লেয়ার শ্যাগ
মিডিয়াম লেংথের চুলের জন্য। গোলাকার, লম্বাটে বা ডিম্বাকার
মুখের গড়নে এবং যেকোনো ধরনের চুলে ভালো মানায়। স্টাইলটিকে বলা
যেতে পারে ইমো লেয়ারের আরেক সংস্করণ। এখন বেশি লেয়ার করে চুল কাটছে মেয়েরা, যাতে চুলের ভলিউম
বেশি দেখায়।
ফরোয়ার্ড গ্র্যাজুয়েশন
মিডিয়াম ও লং লেংথের চুলের জন্য মানানসই। এই স্টাইলে চুলের
ধরন হবে সোজা ও ঢেউ খেলানো। থুতনির নিচ থেকে চুলের আগা পর্যন্ত সামনের
দিকে লেয়ার করা হয়। গ্র্যাজুয়ালি লেয়ারটি থাকে বলে এই স্টাইলকে ফরোয়ার্ড
গ্র্যাজুয়েশন লেয়ার বলা হয়। যাদের গলা ছোট, হাইট কম, তাদের জন্য মানানসই
নয়। মিডিয়াম লেংথ, স্ট্রেইট চুল ও
মিডিয়াম হাইট বা লম্বা মেয়েদের জন্য এটি মানানসই।
ডিসকানেকটেড
এ লেয়ার কাট স্ট্রেইট চুলে ভালো মানায়। এতে চুলের ভলিউম
বেশি মনে হয়।
চুলের স্টাইলে লেয়ার কাট যায় বিভিন্ন দৈর্ঘ্যে কাটা যায়। তবে কাটের ধরন
র্নির্ভর করে চুলের ঘনত্ব আর দৈর্ঘ্যরে ওপর। নি¤েœ এ সম্পর্কে আলোচনা
করা হলো :
চুলের ধরন বুঝে
কোঁকড়া চুলে মানায় ষ্টাইস ভলিউম লেয়ার। খুব ছোট চুলে মিডিয়াম, স্টাইস বা ভলিউম-
কোনোটাই মানানসই নয়। তবে শর্ট বা ইমো লেয়ার ছোট চুলে মানানসই। লম্বা চুলের জন্য
লং লেয়ার। দুই পাশের চুল লেয়ার করে কেটে পেছনের অংশে স্ট্রেইট
বা ভি কাট দিতে পারেন। প্রথম লেয়ারটি চোখের পাশ ঘেঁষে শুরু হয়ে ক্রমে
কাঁধ পর্যন্ত আসবে। এ ধরনের হেয়ার কাটটি লম্বাটে বা ডিম্বাকার মুখের
সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়।
নানা রকমের লেয়ার কাট
শর্ট
যাদের ছোট ও স্ট্রেইট চুল তাদের জন্য শর্ট লেয়ার মানানসই। এই স্টাইলে চোখের
পাশ থেকে লেয়ার শুরু হয়। পেছনে স্টেপ কাট আর চুলের লেংথ থাকবে গলা পর্যন্ত। শর্ট লেয়ারের রয়েছে
নানা স্টাইল। যেমন- কোঁকড়া চুলের জন্য শর্ট লেয়ার, মুলেট লেয়ার ও
শর্ট ব্যান্ট লেয়ার। বব কাটের জন্য শর্ট লেয়ার হবে সামনে লম্বা রেখে।
মিডিয়াম
মাঝারি লেংথের চুলের জন্য মিডিয়াম লেয়ার ভালো। ডিম্বাকার, গোলাকার ও লম্বাটে
মুখের সঙ্গে মানায়, তবে চুল স্ট্রেইট হলে ভালো হয়। এই স্টাইলে সিঁথি
মাঝে বা পাশে হলে খারাপ দেখায় না। ইচ্ছেমতো হেয়ার এক্সসেরিজ ব্যবহার করা
যায়।
