হেয়ার ম্যাসাজ ও ট্রিটমেন্ট করা
হেয়ার ম্যাসাজ ও ট্রিটমেন্ট করা :
ঘন কালো স্বাস্থোজ্জ্বল চুল, সব নারীরই চিরকালের পছন্দ। সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে
তেল গরম করে ম্যাসাজ করতে পারেন। চুলের গোড়ার ময়েশ্চার বজায় রাখতে এর জুড়ি নেই। শ্যাম্পু করার ১ ঘণ্টা
আগে আঙুলের ডগা দিয়ে চুলের গোড়ায় অয়েল ম্যাসাজ করুন। চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ
এর কারণে আপনি আরামও পাবেন এবং ঘুমও ভালো হবে।
অয়েল ম্যাসাজের উপকারিতা :
১. তেল চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দিয়ে চুলের ঘাটতি পূরণ
করে। স্ক্যাল্পে তেল দিয়ে
ম্যাসেজ করলে রোমছিদ্রগুলো খুলে যায়, ফলে তেলের শোষণ ভালো হয়।
২. নিয়মিত অয়েল ম্যাসাজ রাসায়নিক ও অন্যান্য হেয়ার ট্রিটমেন্টজনিত
যাবতীয় ক্ষতি নিরাময় করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা
করে।
৩. অতিরিক্ত শুষ্কতা বা তেলতেলেভাব, চুল ডগা ফাটা, চুল ভেঙে ঝরে যাওয়া, এসব চুলের গোড়া দুর্বল
হওয়ার চিহ্ন। শীতল তাপমাত্রা, অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, স্টাইলিং টুলের চড়া
তাপ, কিছু বিশেষ ধরনের
হেয়ার প্রডাক্টের ব্যবহারের কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে। দিনে ১০০ থেকে ১৫০টা
চুল ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক হলেও এর বেশি চুল যদি আপনার উঠতে থাকে, তা হলে নিয়মিত অয়েল
ম্যাসাজ করালে আপনি যথেষ্ট উপকার পেতে পারেন।
৪. মাথায় স্বাভাবিকভাবেই প্রাকৃতিক তেল তৈরি হয়। এই প্রাকৃতিক তেল
চুল আর্দ্র রাখে ও চুলে পুষ্টি পৌঁছে দেয়। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন, রাসায়নিকে ভরা চুলের
প্রডাক্ট, হিটিং টুল, দূষণ, ক্লোরিনযুক্ত পানি
এবং আরও নানা কারণে চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। নিয়মিত তেল ম্যাসাজ
এ সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারেন।
৫. অনেকের মাথায় চুলকানি থেকে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক
সংক্রমণের মতো ছোট বড় নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ
করলে যাবতীয় সংক্রমণ দূরে থাকে।
৬. চুল ওঠার অন্যতম মূল কারণ হল খুসকি। মাথার ত্বক অতিরিক্ত
শুষ্ক হলে খুসকি দেখা দেয়। এর ফলে মাথা চুলকোতে থাকে, চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত
হয়, চুল ভেঙে ঝরে যেতে
শুরু করে। নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করলে মাথার ত্বক প্রয়োজনীয় পুষ্টি
তো পায়ই, সঙ্গে তেলের গ্রন্থিগুলোও
পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন করতে শুরু করে।
৭. আজকাল বহু মানুষই অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। দৈনন্দিন খাবারে ভিটামিন
ও প্রোটিনের অভাব থাকলেই সাধারণত অকালে চুল পাকার সমস্যা দেখা যায়। নিয়মিত তেল মাখলে
চুলের স্বাভাবিক কালো রং ধরে রাখা যায়।
৮. তেল চুলের বাইরে একটি সুরক্ষার আবরণ তৈরি করে এবং চুলকে দূষণ
ও সূেের্য় অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচায়, যা চুল সাদা হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
৭. ঈষদউষ্ণ বা হালকা গরম তেল দিয়ে স্ক্যাল্পে
ম্যাসাজ করলে রক্ত সংবহন বৃদ্ধি পায়, মাথার শিরা-উপশিরা, স্নায়ুগুলো শিথিল
হয়ে আসে। অয়েল ম্যাসাজ শরীর ও মন হালকা করে, মানসিক চাপ কমায় এবং
মন মেজাজ ভালো রাখে। নিয়মিত অয়েল ম্যাসাজ করলে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি হয়।
