ওয়াস্কিং করা
ওয়াক্সিং করার নিয়ম :
১। ওয়াক্সিং কেন করবেন ?
উত্তর : যাদের শরীরে মাত্রাত্রিরিক্ত লোম তারা সাধারনত ওয়াক্সিং করা কে বেছে নেয়। ওয়াক্সিং করার মাধ্যমে
শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়। তাই তো পারলার গুলোতে ওয়াক্সিং প্রত্যাশীদের হরহামেশাই
ভিড় লেগে থাকে এবং এটি জনপ্রিয়ও বটে। হাত-পায়ে লোম কিংবা ঠোঁটের ওপর হালকা গোঁফ! কে চায়
এসব? কিন্তু লোম দূর করাতে
ঝক্কিও কম নয়। এ সব জায়গায় কখনো রেজর চালানো যাবে না। আবার ওয়াক্সিং ন্যাচারাল হলেও যন্ত্রণাদায়ক। তবে প্রাচীন মিসরীয়
এই সৌন্দর্যচর্চা আজও অমলিন। যদিও সে সময় ত্বক কোমল ও পরিষ্কার রাখতে নারী-পুরুষ
সবাই ব্যবহার করত। বর্তমানেও ব্যতিক্রম নয়। আধুনিক পারলারগুলো
এর ব্যবহার রয়েছে।
২। ওয়াক্সিং কোন ত্বকে কোন পদ্ধতিতে করবেন ?
উত্তর : আমাদের এটি মাথায় রাখতে হবে সবার ত্বক এক নয়। কারও লোম বাড়ে দ্রুত, কারও আবার কম। অতিরিক্ত লোম শরীরে
অস্বস্তি তৈরি করে। ত্বক হয়ে ওঠে খসখসে। আবার তৈলাক্ত ত্বকে
পশমের গোড়ায় ময়লা জমে ব্রন, সমস্যা দেখা দেয়, ত্বক কালো দেখায়। মূূলত বয়স এবং ত্বকের
ধরন বুঝে ওয়াক্সিং করানো উচিত। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা ত্বক পরিষ্কার করে পাউডার
ব্যবহার করে ওয়াক্সিং করুন। তবে শুষ্ক ত্বক হলে পাউডার এড়িয়ে চলুন। আবার ওয়াক্সিং করানোর
প্রথম শর্ত হলো অবশ্যই ব্যবহারকারীর বয়স ১৭ বছর হতে হবে। এর আগে আন্ডার আর্মস
ছাড়া হাত-পায়ের লোম না তোলাই ভালো।
৩। ওয়াক্সিং তৈরি কি ভাবে করতে হয় ?
উত্তর : পাত্রে খানিকটা চিনি চুলায় গরম করে ক্যারামেল তৈরি করে
সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। এই মিশ্রণটি দিয়ে
ওয়াক্সিং করা যাবে।
৪। কীভাবে ওয়াক্সিং করাবেন ?
উত্তর : ওয়াক্সিং করার শুরুতেই নির্দিষ্ট স্থানে পাউডার দিয়ে
নিন। এর ফলে ত্বক শুষ্ক
হয়ে উঠবে। একটি কাঠের চামচ দিয়ে মিশ্রণটি হাত-পায়ে লাগিয়ে
নিন। মিশ্রণটির ওপর সুবিধাজনক
আকৃতির লিনেন কিংবা নরম সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন।
তারপার কাপড়টি শুকিয়ে এলে সেটি টান দিয়ে তুলে ফেলুন।এ ছাড়া ঠোঁটের ওপর
হালকা গোঁফে পুরো চেহারাটাই কালচে দেখায়। এই গোঁফ দূর করতে
নিচের পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।
(ক) ঠোঁটের ওপর অবাঞ্ছিত
লোম দূর করতে এক টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া ও এক টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে
নিন। মিশ্রণটি আঙ্গুল
দিয়ে ঠোঁটের ওপর লাগান। শুকিয়ে গেলে আলতো করে ঘষে তুলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে
ফেলুন। টানা চার সপ্তাহ ব্যবহারে উপকার পাবেন।
(খ) ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট আপার লিপে
লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে পিল অফ করে নিন। টানা এক মাস সপ্তাহে
দুই দিন এটা করলে সুফল পাবেন।
৫। ওয়াকিং পর ত্বকের যতœ কি ভাবে নিবেন ?
ওয়াক্সিংয়ের পর অবশ্যই হাত-পায়ের যতœ নিতে হবে। লোম তুলে ফেলার ফলে
শরীরের স্থানটি লাল হয়ে যায়, অনেক সময় জ্বালাপোড়া করে। স্থানটিতে কিছুক্ষণ
বরফ ঘষতে পারেন। কিংবা আফটার শেভিং ক্রিম লাগিয়ে রাখতে পারেন। ওয়াক্স করার পরপরই
রোদে বের হবেন না। অবশ্যই সানস্ক্রিন মেখে ঘর থেকে বেরোতে হতে হবে। ওয়াক্সিংয়ের পর ত্বকে
অ্যালার্জি এবং লাল হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ট্যালকম পাউডার লাগিয়ে নেয়া যেতে পারে।
