বিউটি পার্লারের সাজানোর সরঞ্জাম চিহ্নিত করণ
বিউটি পার্লর সাজানোর সরঞ্জাম চিহ্নিত করন :
বিউটি পারলর যারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে বা যার একটি এরকম
একটি পারলর করারা চিন্তা করছেন তাদের জানতে হবে বিউটি পারলর এর সাজ সরঞ্জাম চিহ্নিত
করন ও তা কোন কাজে কোন জিনিসটি (সাজ সরঞ্জাম) প্রয়োগ করতে হবে তা জানতে হবে। আমরা জানি সাজ সরঞ্জাম
হলো সাজার জন্য বিশেষ কিছু যন্ত্রপাতি বা টুলস । সেগুলো হলো বিভিন্ন প্রকার ব্রাশ , চিরুনী, বিভিন্ন মেশিন এর ব্যবহার
। এ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
রূপচর্চার জন্য বিভিন্ন
রকম ব্রাশ করতে হয় একজন মেকআপ আর্টিস্টের/
মেকাপমেনের মেকআপের সঙ্গে আমাদের নিজের করা মেকআপে অনেক পার্থক্য থাকে। এর একটা কারণ মেকআপ
আর্টিস্টরা নানা ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করেন। আর আমরা করি কয়েকটা ব্রাশ। মেকআপ করা এবং চেহরার
সঙ্গে ও গুলো মেশানোর জন্য দরকার বিভিন্ন রকম ব্রাশ। আর এই ব্রাশ ব্যবহারের
জন্য জেনে নিন কিছু পরামর্শ ও টিপস :
যারা মেকআপ করেন তাদের মতে, আমাদের কতগুলি ভাল ধরনের কার্যকরী ব্রাশ
প্রযয়োজন। প্রয়োজন অনুসারে একেরপর এক ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। মেকআপ বক্সের সঙ্গে
যে ব্রাশ থাকে ওগুলো সবার প্রথমে বাদ দিতে হবে। এগুলোর বেশির ভাগই
ভালো কাজে আসে না।
ছোট, ব্রিসলের (উপরের অংশ) মান থাকে খারাপ। অল্পদিন ব্যবহারের
পর এগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
মেকআপ ব্রাশ :
মেকআপ ব্রাশ কসমেটিক্স যেসব দোকানে বিক্রি হয় সেখানে পাওয়া যাবে। কেনার সময় দেখে নিতে
হবে এগুলোর ব্রিসল (উপরের লোমাবৃত অংশ) নরম, দৃঢ় কিনা। এরপর দেখতে হবে ব্রাশের
হাতলগুলো ব্যবহারের সময় ধরতে সোজা হবে কিনা। মেকআপের ব্রাশগুলি
নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। বেবি শ্যাম্পু / সাবান দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করা যায়। কাপে সাবান পানি নিয়ে
কিছুটা পানি হাতের তালুর ওপর রেখেতার ভেতর ব্রাশ দিয়ে ভাল ভাবে ঘষতে
হবে যেন মেকআপ উঠে যায় । পরিষ্কার হয়ে গেলে ব্রাশের ব্রিসল থেকে পানি চিপে
ফেলে দিয়ে ব্রাশ আগের শেপে ফিরিয়ে আনতে হবে এরপর মেলে রেখে শুকাতে হবে। এতে ব্রাশ জীবাণু
মুক্ত হয়ে যাবে। ব্রাশ একটা কেসের ভেতর রাখলে আরো ভালো হয়। কি কি ধরনের ব্রাশ
ব্যবহার করবেন জেনে নিন।
১। আই শ্যাডো ব্রাশ :
এই ব্রাশের ব্রিসল ছোট, গোলাকৃতির ও নরম হয়। আয়না মুখের কাছে এনে
মাথা সোজা করে নিয়ে তারপর এটা ব্যবহার করতে হয়।
২। আইল্যাইনার ব্রাশ :
আইল্যাইনার ব্রাশ ফ্লাট, ছোট ও শক্ত ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করা হয় আই লাইনার
লাগাতে ব্রাশ হালকাভাবে ধরে চোখের ওপরে পাপড়ির কাছাকাছি লাইন টানতে হয়। এতে চোখ বড় দেখায়।
৩। ভুর ব্রাশ
:
ভুর ব্রাশ ছোট কোণাকুণি মাথার ব্রাশ। ব্রাশে অল্প পরিমাণ
শ্যাডো নিয়ে ভ্রুতে লাগাতে হয়।
৪। কনসিলার ব্রাশ :
কনসিলার ব্রাশ। শক্ত ব্রাশ, ফ্ল্যাট সরু মাথা, সিনথেটিক ব্রিসল। ক্রিম কনসিলারের সঙ্গে
ব্যবহার করতে হয়। তবে যেসব জায়গায় দরকার সেখানে ব্যবহার করতে হয়। এটার বেশি ব্যবহার
উচিত নয়। ত্বকের চামড়ায় আঘাত লাগতে পারে। তাই আঙ্গুলের ডগা
দিয়ে কনসিলার ব্যবহার করুন।
৫। পাউডার ব্রাশ :
পাউডার ব্রাশ বড় হাতলের নরম ব্রিসল, অনেক ঘন ব্রিসলের
ব্রাশ।
৬। লিপ ব্রাশ :
লিপ ব্রাশ সরুদুই দিকে ব্রাশ লাগানো থাকে ব্রাশে লিপ লাইনার
লাগিয়ে এক পাশ দিয়ে ঠোট লাগাতে হবে। অন্য পাশ দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে লিপস্টিকের রঙ মসৃণ
করে।
৭। কটুয়ারির ব্রাশ :
কটুয়ারির ব্রাশ ফ্লাটার এবং শ্যাডো
ব্রাশের চেয়ে শক্ত। এটার আগা সরু তাই চোখের কোটরে ঢোকে। চোখ জুড়ে, চোখের নিচে রেখা টানা
যায় এটা দিয়ে।
